ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশন জি বাংলার সারেগামাপা রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের উঠতি তরুণ সঙ্গীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। কিন্তু কিছু কিছু মন্তব্যে অহংকার প্রকাশ পেয়েছে এই উঠতি সঙ্গীতশিল্পীর। যার কারণে নিজেদের পছন্দের তালিকা থেকে নাম কেটে দিচ্ছেন ভক্তরা। এর প্রমাণ পাওয়া যায় বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া নোবেলের প্রথম মৌলিক গানে। এরপর নানা তর্ক বিতর্ক পেরিয়ে নোবেলের অভিনয় তাঁকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়।
নোবেলকে নিয়ে নানা অভিমত দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে ছড়িয়ে পড়লে দেশের শীর্ষ সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাকে টেনে নেয় এবং বেশকিছু গানের চুক্তি করে। সাউন্ডটেকের কর্ণধার সুলতান মাহমুদ বাবুল বলেন, এই সময়ের বেশ কয়েকজন সংগীত পরিচালক নোবেলের গানগুলো করবেন। এরইমধ্যে নোবেল-এর অভিনয় গানটি প্রকাশিত হয় এবং সফল হন নোবেল।
নোবেলকে নিয়ে এবার আসিফ বললেন, নোবেলের কণ্ঠ আমাদের সম্পদ। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে আসিফ লিখেছেন, এই ছেলেটা আনপ্রেডিক্টেবল। ও কখন কি করে বসে জানিনা। ভাল গার্ডিয়ানশিপ হয়তো এখন পেয়েছে। সাউন্ডটেক নোবেলের গান প্রডিউস করছে, আমি খুশী। নোবেলের নাট আর বল্টু’র সমন্বয়টা আদৌ হবে কিনা জানিনা। এখন এই মুহূর্তে তাকে বাধ্য হয়েই ভালোবাসি, কারণ ছেলেটা কণ্ঠ ছেড়ে গায়।
ও প্রিয়া খ্যাত তুমুল জনপ্রিয় এই গায়ক বলেন, নোবেলের কণ্ঠে নিজের পুরনো দম খুঁজি। ওর তেজস্বী কণ্ঠ শুনতে ভাল লাগে। যা গায় দম নিয়ে গায়। মেশিন মুশিনের কাহিনী নাই। দোয়া করি নোবেল যেন অনেক বাংলা মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, রিস্ক জেনেও নোবেলের পক্ষ নিচ্ছি শুধুমাত্র তার তেজস্বী গায়কীর জন্য। নোবেলের কণ্ঠ আমাদের সম্পদ। এইবার ঠাণ্ঠা মাথায় চলবে, এই কথা দিয়েছে আমায়। আমরা কিছু বেয়ারা দোয়া করি তোমার জন্য নোবেল, শুধু গান গেয়ে যাও। ভলোবাসা অবিরাম…
গত বছরের মাঝামাঝি বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীদের হেয় করে মন্তব্য করেছিলেন নোবেল। পরে এ নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। র্যাবও তাঁকে ডেকে নেয়। যেখানে তিনি বলেন, নিজের আসন্ন গান তামাশার প্রচারে এমনটা করেছেন। সে যাত্রায় ক্ষমা চেয়ে র্যাবের কাছে লিখিত দিয়ে আসেন তিনি।