নাটোরের লালপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সম্প্রতি বাগাতিপাড়া থানায় অভিযোগ করেন রোকনুজ্জামান রোকন, রাসেল আহমেদ ও আবুল কালাম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ৪ ঘন্টা আটক রেখে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি জোর করে দলিলে ৮ লাখ টাকা পাওয়ার স্বাক্ষর করে নেয়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাসেল আহমেদ ও আবুল কালামকে আটক করে পুলিশ। আসামীদের দলীয় পরিচয় সহ সংবাদটি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত খবরে আসামীদের দলীয় পদ সঠিক নয় এবং দলের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে আজ রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে নিজেদের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক।
লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু ও সাধারন সম্পাদক ইসাহাক আলী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৬/০৬/২০২১ ইং তারিখে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত স্থানীয় সংসদ সদস্য এর বাড়ির ঘটনা এবং উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। উক্ত খবরে লালপুর উপজেলার ওসিএলএসডি রফিকুল ইসলাম কর্তৃক বাগাতিপাড়া থানায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের যে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে তা সর্বৈবমিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে আসামি রোকনুজ্জামান, পিতা – মোঃ শহিদুল ইসলাম, গ্রাম -কেশবপুর, রাসেল আহমেদ, পিতা-মোঃ হাসান মন্ডল, গ্রাম-নেংগপাড়া, মোঃ আবুল কালাম, পিতা- জামাল উদ্দিন, গ্রাম-বিজয়পুর, সর্ব থানা-লালপুর, জেলা-নাটোরগনদের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের লালপুর উপজেলা শাখা বা উপজেলাধীন অন্য কোন শাখার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন প্রকার সম্পর্ক নাই। লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন শাখার তারা কেউ প্রাথমিক সদস্যও নয়। আসামি রোকনুজ্জামান ও রাসেল আহমেদ এমপি মহোদয়ের ব্যবসায়িক পার্টনার ও ব্যক্তিগতভাবে ঘনিষ্ট এবং তারা সকলেই পারিবারিকভাবে বিএনপি, জামায়াত এর রাজনীতির সাথে যুক্ত। অত্র আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সাহেব সম্পূর্ণরুপে গঠনতান্ত্রিক বিধান ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে নিজস্ব বলয় সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে কিছু কমিটি গঠন করেছেন এবং উক্ত কমিটিসমূহে এ সকল আসামিদের বিভিন্ন পদ প্রদান করেছেন বলে আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এসএম কামাল (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত), জেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বরাবর অভিযোগ যথাসময়ে দাখিল করা হয়েছে। এমনকি এমপি মহোদয়ের এ সকল অগঠনতান্ত্রিক ও দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সে ও তার কতিপয় সহযোগির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিচারাধীন আছে। এমপি মহোদয়ের এহেন অবৈধ কর্মকান্ডের কারনে নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি মহোদয় তাকে শোকজ নোটিশও প্রেরন করেছেন।
আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাবে ঘোষনা করছি যে, উপরিউক্ত আসামীদের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোন শাখার সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক নাই বরং তারা ব্যক্তিগত এবং পারিবারিকভাবে বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। ওসিএলএসডি সাহেব দায়েরকৃত মোকাদ্দমাটি যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ন্যায়বিচার দাবি করছি। উল্লেখ্য বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব এসএম কামাল (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে এবং তার পরামর্শ গ্রহন করা হয়েছে।