রাজশাহীর বাঘায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে সবজি।
কৃষকেরা জানান,রবি মৌসুমের শুরুতেই আকস্মিক বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়ের আক্রমণে ফসল হানির ঘটনা ঘটেছে। ফলে সবজি উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) উপজেলা সদরে বাজার ঘুরে দেখা যায়,গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি কেজিতে ৫থেকে ১৫টাকা বেড়েছে। চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৩০ টাকা থেকে ৪০টাকা,বেগুন (দেশি)৪০ টাকা থেকে ৫০টাকা,কাঁচামরিচ ৮০ টাকা থেকে ১০০টাকা,বরবটি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা,গাজর ৮০ টাকা থেকে ১০০টাকা,ধরিয়া পাতা ১৫০ টাকা থেকে ২০০টাকা,বড় আলু ২৫টাকা থেকে ৩০টাকা,দেশি আলু ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপে ১৫ টাকা,কাঁচা কলা ১৬ টাকা হালি,লেবু ২০ টাকা হালি,ফুলকপি ৬০ টাকা,বাঁধাকপি ৫০ টাকা,পটল ৩০ টাকা,লাউ(মাঝারি) ৪০টাকা,আদা ১০০ টাকা,মুলা ৩০টাকা,শশা ৪০ টাকা, কড়লা ৬০টাকা,পেঁয়াজ ৫৫টাকা,রসুন ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । অন্যদিকে মোটা চাউল ৪৫ টাকা,জিরা চাউল ৯৫টাকা,মিনিকেট চাউল ৬০ টাকা,চিনি ৮০টাকা,ছোলা ৭০টাকা,মসুর ডাল ৯০ টাকা,মাসকলাই ১২০ টাকা,মুগ ১৩০টাকা,হলুদ (গুঁড়া) ২০০টাকা,মরিচ কাঁচা ১২০টাকা মরিচ (গুঁড়া) ২৫০ টাকা। খাসির মাংস ৬৫০থেকে ৭০০টাকা,গরুর মাংস ৫৫০টাকা থেকে ৫৮০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে
এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে বেড়ে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০টাকা,দরে বিক্রি হচ্ছে । মুরগি বিক্রেতারা জানান এই প্রথম সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও ফার্মের মুরগির ডিম ৩৬টাকা,দেশি মুরগির ডিম ৪০ টাকা,হাঁসের ডিম ৪০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
আড়ানী বাজারের মাছ বিক্রেতা হরিশংকর জানান, কোন কোন মাছের দাম কেজিতে ১৫টাকা থেকে ২০টাকা করে বেড়েছে । সিলভার কার্প ১০০ টাকা,রুই মাঝারী ২৫০টাকা,গ্লাসকার্প ১৮০ টাকা,পাঙ্গাশ ১২০টাকা,বড় চিংড়ি ১০০০ টাকা এবং শিং মাছ ৫০০টাকা,বড় ইলিশ ১হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা জানান,দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে । নির্ধারিত মূল্যের অধিক দাম যাতে কেউ নিতে না পারে সে লক্ষে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।