নাটোরের লালপুরে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ইমো” হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় চক্রের আরো ৫ সদস্য কে আটক করেছে র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। আটককৃতরা হলো লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের মো. আঃ রহিমের ছেলে শাকিল আহমেদ শাকিব (২৩), মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে সেলিম আলী (২০), মো. জিয়ারুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম (১৯) মহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত নাজিম প্রামাণিকের ছেলে সোহেল রানা (২৮) ও মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মুহাইমিনুল (২৭)।
শনিবার (২১ মে) ভোর রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর চিনির বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের কে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর চিনির বটতলা এলাকায় কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম “ইমো” হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৫জন সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ৫টি মোবাইল ফোন, ১১টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, আকটকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত পরস্পর যোগসাজসে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের “ইমো” ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে ইমো সফ্টওয়্যারে অবৈধ প্রবেশপূর্বক মেয়ে ও পুরুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে পরিচয় গোপনপূর্বক বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন, ইমো সেক্স এবং প্রতারনার মাধ্যমে কৌশলে ভিকটিমের পরিচিতজনদের নিকট হতে প্রতারণাপূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিস (বিকাশ) এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বিকার করেছে তারা।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২০/২৪/৩৪ ও ৩৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।২১ মে গণমাধ্যমে পাঠানো র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সকল তথ্য জানানো হয়।