লালপুরের ত্রিমোনী চত্বরে যানযট নিরসনে বাইপাস সড়কের অবৈধ স্থাপনা ৩ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা।
গত রোববার (৫ জুন) সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এই নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে একাধিকার অবৈধ স্থাপনা সরানোর নোটিশ দিলেও দখলদাররা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
জানা যায়, দেড়যুগ পর রাস্তার সিমানা নির্ধারণ করে উন্মুক্ত করা হয়েছিল লালপুর বাইপাস সড়ক। তবে তার ৪ মাসেও রাস্তার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় থমকে গেছে উপজেলার উন্নয়নের মাইলফলক খ্যাত এই বাইপাস সড়ক সংস্কারের কাজ।
এর আগে, গত ২৭ জানুযারি স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ততকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার বাইপাস সড়কের সীমানা নির্ধারণ করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এতে লালপুর ফিলিং স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে লালপুর-ঈশ্বরদী রাস্তা হতে লালপুর ছয় রাস্তার মোড় লালপুর পাবলিক লাইব্রেরী পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হলে বিকল্প এ রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারলে অনেকাংশেই যানযট কমে আসবে। তবে রাস্তার সিমানা নির্ধারণ হলেও অবৈধদখল মুক্ত না হওয়ায় লালপুর বাজারের ড্রেনেজ নির্মান ও রাস্তার সংস্কার কাজ সম্ভব হচ্ছে না। এতে লালপুর -গোপালপুর সড়কে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় যানজটে নাকাল হচ্ছেন লালপুরবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, লালপুর -গোপালপুর সড়ক সংস্কার কাজ করাসহ রাস্তার দুপাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান, অটো-সিএনজি স্টান্ড গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সরু হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিকল্প সড়ক ছয়রাস্তা মোড়ে বাইপাস সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ও অবৈধ দখলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। ফলে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে কাজে আসছে না এসড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লালপুর ট্রাফিক মোড় থেকে ছয়রাস্তার মোড় পর্যন্ত মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তা প্রায় দেড় যুগ ধরে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকায় ত্রিমোহনী চত্ত্বরের ওপর যানবাহনের চাপ বেশি পড়ে। এতে বিকল্প রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করলে অনেকাংশেই যানযট কমে আসবে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শামীমা সুলতানা বলেন, দখলদারকে নোটিস দেয়া হয়েছিল এবং আমি সরজমিনে গিয়ে ৩ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছি। যদি রাস্তাটি দখমমুক্ত না হয় তবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।