একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় তার সহপাঠী। এতে রাজি না হওয়ায় আরেক বান্ধবীর সহায়তায় তাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ভিডিও ধারণও করে তারা। ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর পাশাপাশি ছোট নাবালক ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে পরে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বিষপান করে। চিকিৎসা শেষে বেঁচে গেলে তিনি স্বজনদের কাছে সব খুলে বলেন।
২০১৭ সালের এই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওই মামলায় ছাত্রীর বান্ধবীসহ তিন তরুণকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন নাটোর নারী ও শিশু আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম।
কোর্ট ইন্সপেক্টর নজমূল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর স্যাপার কলেজের তৎকালীন একাদশ শ্রেণির তিন ছাত্র ও এক ছাত্রী রয়েছেন।
এ বিষয়ে নাটোর জজ কোর্টের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা অপরাধ সংঘটনের সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। এ জন্য শিশু আইনে তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে দেওয়া আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, যদি আসামিরা কম বয়সী হয়, তবে তাদের যেন শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তা না হলে তাদের সংশ্লিষ্ট কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।