স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের লালপুরে পদ্মানদীতে তৃতীয় দফায় আকস্মিকভাবে পানি বৃদ্ধিতে লালপুরের চরাঞ্চলে রোপনকৃত ৩০ হাজার গাছের অধিকাংশই পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ঈশ্বরদী হার্ডিং ব্রিজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১২ দশমিক ৩২ মিটার। সে অনুযায়ী বর্তমানে লালপুরে পদ্মার পানি বিপদ সীমার দেড় মেটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
এবছর (১ জুন ২০২৪) থেকে লালপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে ৩০ হাজার গাছের চারা রোপন করে বন বিভাগ। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গেছে ৩০ হাজার গাছের অধিকাংশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার চরাঞ্চলে বন বিভাগে রোপনকৃত গাছের অধিকাংশই পানির নিচে তলিয়ে আছে। পদ্মার পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অতিরিক্ত বর্ষণের কারণেই এমনটি হয়েছে। এ বিষয়ে বনায়নের সুবিধাভোগী সদস্যের সভাপতি এ এম রায়হান জানান, অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে বন বিভাগের সহায়তায় পদ্মার চরাঞ্চলে রাস্তার দুই পার্শ্বে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে আমরা ৩০ হাজার বৃক্ষরোপণ করি। কিন্তু আকস্মিকভাবে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের রোপনকৃত অধিকাংশ গাছ পানির নিচে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা উপজেলা বন কর্মকর্তাকে সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুল্লাহ্ বলেন, পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় রোবণকৃত গাছের অধিকাংশই তলিয়ে গেছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করি শীঘ্রই পানি নামতে শুরু করলে ক্ষতিগ্রস্ত গাছে জায়গায় পুনরায় গাছ লাগিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে। আমি আশা করি সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী সদস্যরা পুনরায় আবার বাগানটিকে নতুন করে গড়ে তুলবেন এবং সামাজিক বনায়নের একটি উদাহরণ তৈরি করবেন। সেই সাথে
এই বাগান লালপুরের উষ্ণতা কমাবে ও চরের মানুষের চলাচলকে আরো শীতল করবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মন উন্নয়নের ভুমিকা রাখবে।