পশ্চিমাঞ্চল রেলপথের নাটোরের লালপুর উপজেলার আজিমনগর রেলস্টেশন থেকে আব্দুলপুর জংশন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত রেললাইনের ক্লিপ চুরি হচ্ছে। এতে এই রেলপথে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে রেললাইনের ক্লিপ চুরি হচ্ছে। ক্লিপ না থাকলে ট্রেন লাইনচ্যুত হতে পারে। এই অপতৎপরতা ঠেকাতে একাধিকবার থানায় এজহার দায়ের করা হয়েছে। এরপরও ক্লিপ চুরি ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজিমনগর স্টেশন থেকে আব্দুলপুর জংশন মধ্যবর্তী ১০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক ক্লিপ নেই। এসব জায়গার ক্লিপের গোড়ার অংশ ভাঙা বা কাটা। খানিক দূর পর পর কয়েকটি ক্লিপ লাগানো আছে।
রেললাইনের আশপাশে বসবাসরত বাসিন্দারা জানান, রাতে দুর্বৃত্তরা হাতুড়ি দিয়ে স্লিপার ভেঙে অথবা ব্লেড দিয়ে কেটে এসব ক্লিপ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, রেললাইনের ক্লিপ চুরি হতে থাকলে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিতে পড়বে। রেল ট্যাকের মালিক বিভাগীয় প্রকৌশলী। এবিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল বলেন, ক্লিপ চুরির বিষয়ে বেশ কয়েকটা এজহারও দায়ের করছি, তাতেও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে কোনো স্থান ঝুঁকিপূর্ণ যেন না হয় সেজন্য প্রতিদিন সকালে লাইন চেক করা হচ্ছে। রাতে লাইন পাহারা দেওয়ার নিজেস্ব জনবল না থাকায় চুরি ঠেকাতে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন বলেন, ক্লিপ চুরির বিষয়ে গত দুই মাসে থানায় কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।