নাটোরের লালপুরে গ্রাম ঘুরে ঘুরে কনকনে শীতে জুবুথুবু শীতার্ত মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরকারি কম্বল পেয়ে উচ্ছাসিত নিম্ন আয়ের মানুষ।
জানা গেছে, বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিজে গাড়ি বহরে কম্বল নিয়ে গরমের উষ্ণতা দিতে গত ২০ দিন যাবত উপজেলার রেলওয়ে স্টেশন, আশ্রয়ণ প্রকল্প, এতিমখানাসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ৬ হাজার হতদরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী নাইম মোহাম্মদ হাসান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সাদ আহমেদ শিবলী প্রমুখ।
উপজেলার বাওড়া গ্রামের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা রাজিয়া বেগম ও আজেম উদ্দিন বলেন, আগে শুনছি সরকার থেকে কম্বল দেয়। তবে কখনো পায় নি। এবারই প্রথম আমারে গ্রামে এসে গরিব মানুষ গুলাক কম্বল দিয়ে গেছে ইউএনও।
লালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহ উদ্দিন বলেন, বিগত সময়ে জনপ্রতিনিধিরা সরকারি কম্বল আত্মসাৎ করেছে। এই প্রথম চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর উপজেলা প্রশাসনের কম্বল প্রকৃত সুবিধাবাদী মানুষের হাতে পৌঁছাচ্ছে। আর এই কার্যক্রমে প্রতিটি কম্বল ইউএনও বিকাল থেকে গভীর রাত পযন্ত গ্রাম গ্রাম ঘুরে নিজ হাতে বিতরণ করছে। ইউএনওর এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
এবিষয়ে ইউএনও মো. মেহেদী হাসান বলেন, তীব্র শীতে উপজেলার অসহায় মানুষ যাতে কষ্ট না করে সেজন্য শীতার্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলামান রয়েছে। ২০/২৫দিন যাবৎ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিজেই মধ্য রাতে গাড়ি বহরে কম্বল নিয়ে ঘুরে ঘুরে রেলস্টেশন, আশ্রয়ন প্রকল্প, এতিমখান, মাদ্রাসা, তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসী, রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষসহ বিভিন্ন গ্রামে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।