স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের লালপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিএনপি সমর্থিত ৪ বাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট ও পায়ের রগ কেটে আহত করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। জীবন বাঁচাতে ও এঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী বিএনপি সমর্থকরা বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি পরিবারের পক্ষে আশিক জানান, জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক খোরশেদ ও বিএনপির সমর্থক আব্দুর রুস্তমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগনের সহায়তায় আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রতিপক্ষরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ৪টি
বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়ীঘরে জোর পূর্বক প্রবেশ করে দুইটি মোটরসাইকেলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর ও নগদ টাকা সহ স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এসময় আরিফ হোসেন (৪০), ফেরদৌসী বেগম (৩৩), আনিসুর রহমান (৪৭) নিষেধ মানা করলে তাদের মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় তারা আরিফের পায়ের রগ কেটে দেয়। গুরুতর আহতদের প্রথমে লালপুর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় রুবেল বাদী হয়ে আল আমিন সহ ৩৪ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী আহত ফেরদৌসী বেগম বলেন, কি অপরাধ করেছিলাম আজ আমার এই পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। এই মার যদি ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) আগে খেতাম তাহলে সহ্য করতে পারতাম। বিএনপি নেতারা কেউ এখনও পর্যন্ত আসে নাই। আমার বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভাল ছিল। আমার দুই শিশু কন্যা ভয়ে আতঙ্কে দুই ঘণ্টা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের পর পুলিশ রকি নামের একজনকে আটক করে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আওয়ামী সমর্থিত আল আমিনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দুয়ারেয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল জানান, খোরশেদ, শাহ আলম, সাইফুল, ডাবলু, শাহিদ জসিম সকলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। তবে এঘটনার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এঘটনায় দুয়ারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি সমর্থিত ৪ পরিবারের বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে। এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই সময় তিনি প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল আলীম জানান, এই ঘটনায় লালপুর থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
###