বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে যখন স্থবির অন্য সব সেক্টর, এ সময় হু হু করে বাড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি।
মানুষ ঘরে থেকে অনলাইনে বাজার করছেন, খাবার সংগ্রহ করছেন, শিক্ষা চিকিৎসা এমনকি বিনোদনের জন্যও অনলাইনের দ্বারস্থ হওয়ায় এ অঞ্চলের ইন্টারনেট ইকোনমি বাড়ছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি এ বছর সাড়ে দশ হাজার কোটি ডলারের ঘরে গিয়ে ঠেকবে। কোভিড-১৯ বাস্তবতায় বাসায় আটকে পড়া ভোক্তা শ্রেণির বদৌলতে এমনটি হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপিন্সের তথ্য উঠে এসেছে।
শুধু এ বছরেই চার কোটি নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এসেছে ওই অঞ্চল থেকে। সবমিলিয়ে ওই অঞ্চলের মোট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটির ঘরে। হিসাবে প্রতিবেদনে উল্লিখিত অঞ্চলের ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই এখন অনলাইনে চলে এসেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর পাঁচ শতাংশ বিস্তৃত হয়েছে।
‘করোনাভাইরাস স্থায়ী এবং বড় মাপের ডিজিটাল অবলম্বন স্রোত নিয়ে এসেছে।’- প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে গুগল, সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী ‘টেমাসেক হোল্ডিংস’ এবং বাণিজ্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘বেইন অ্যান্ড কো’।
করোনাভাইরাস লকডাউনে লাভবান হয়েছেন অনলাইন খুচরা বিক্রেতারা। কারণ মানুষ সংক্রমণের ভয়ে বাসা থেকেই পণ্য কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এ বছর ই-কমার্স ৬৩ শতাংশে উঠে এসে ছয় হাজার দুইশ কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হয়েছে।
আগের তুলনায় এ অঞ্চলের অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষরা এখনই ইন্টারনেটে অনেক অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে তারা আগামীতে আরও বেশি করে ইন্টারনেটকেন্দ্রিক সেবা চাইবে ও তার উন্নয়ন চাইবে। এ কারণেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশ্বের অন্যতম দ্রুত গড়ে উঠতে থাকা ইন্টারনেট বাজারে পরিণত হয়েছে।