কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জাঁকজমক সহকারে ঈশ্বরদীতে পালিত হচ্ছে। কালী বা কালিকা হলেন আদ্যাশক্তির এর রূপ। শাক্ত মতে, কালী বিশ্বব্রহ্মা সৃষ্টির আদি কারণ। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়। পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়।
‘কাল’ শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে: ‘নির্ধারিত সময়’ ও ‘মৃত্যু’। প্রকৃত অর্থে কাল অর্থাৎ সময় কে কলন যার অর্থ রচনা করেন তিনিই কালী। দণিাকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্মশানকালী, মহাকালী, রাকালী ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন মন্দিরে “ব্রহ্মময়ী”, “ভবতারিণী”, “আনন্দময়ী”, “করুণাময়ী” ইত্যাদি নামে কালীপ্রতিমা পূজা করা হয়। এই সব রূপের মধ্যে দক্ষিণাকালীর বিগ্রহই সর্বাধিক পরিচিত ও পূজিত। দক্ষিণাকালী চতুর্ভূজা, তার চার হাত। খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুন্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। তার গলায় রয়েছে নরমুন্ডের মালা। দেবীর গায়ের রং কালো আবার কোথায়ও কোথায়ও নীলাভ অর্থাৎ শ্যামবর্ণ। মাথায় আলুলায়িত চুল এবং তিনি শিবের বুকে ডান পা আগে রেখে দন্ডায়মান।
বাংলার ২৮ কার্তিক ১৪২৭, ইংরেজি ১৪ নভেম্বর২০২০ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মন্দিরে, বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীপ জ্বালানো হয়েছে।
ঈশ্বরদীর সকল মন্দিরে এবং অনেকের বাড়িতে নিশি রাতে শুরু হয়েছে কালী পূজা। ঈশ্বরদীর শতাধিক বছরের প্রাচীন ঠাকুরবাড়ি সত্য নারায়ন বিগ্রহ মন্দিরে রাত ১১টা থেকে শুরু হয়েছে কালী পূজা। রাত ৪টা অবধি চলবে এই পূজা।
বিভিন্ন মন্দিরে হিন্দু ভক্তরা সমাবেত হয়ে কালী মায়ের আরাধনায় রত। অনেকেই উপবাস রয়েছে। পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদনের পর প্রসাদ গ্রহনের মধ্য দিয়ে পূজা সমাপন হবে।