সজিবুল ইসলাম হৃদয়ঃ হেমন্ত মানেই শীতের আগমনী বার্তা। রাত শেষে ঠাণ্ডা শীত শীত হিমেল বাতাস, আর ভোরে ঘাসের ডগায় জমে থাকা টলটলে মুক্তো বিন্দুর মতো শিশিরবিন্দু। এই শিশিরবিন্দুই বলে দেয় শীত আসছে।
আরও এই শীতের আগমনী বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে তুলা ছাঁটাই ও লেপ তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে নাটোরের লালপুরের ধুনারীদের (লেপ চোষক তৈরির কারিগর)।
সপ্তাহ দুয়েক সময় ধরে দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম খ্যাত লালপুরের এ জনপদে হালকা শীত ও ভোরের ঘাসের ওপর শিশির জমতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে গাছিদের খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে এই জনপদের ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের আখ মাড়াই মৌসুম। আর তাতেই জানান দিচ্ছে যত দিন যাবে ততই শীত অনূভুত হবে। আর এই শীত টের পাওয়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরের কাপড়ে পরিবর্তন আসা শুরু হয়। চাহিদা বেড়ে যায় গরম কাপড়ের। আর এসব চাহিদা মেটাতে কর্মচাঞ্চল হয়ে উঠেছে স্থানীয় লেপ চোষকের দোকানগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, লেপ, তোষক কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। বিরামহীনভাবে কাজ করছেন তারা। ক্রেতারা নতুন তুলা দিয়ে লেপ, তোষক ও বালিশ তৈরি করে নিতে আবার কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিতে ভীর জমাচ্ছেন দোকান গুলোতে।
এসময় লালপুর বাজারের হাফসা বেডিং হাউজের কিরোনুল ইসলাম জানান, শীত এখনো জেঁকে না বসলেও অনেকে আগেভাগেই লেপ ও তোষক বানাতে আসছেন। সারা বছরের চেয়ে শীতের এ কয়েকটা মাস বেচাকেনা একটু বেশিই হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
তবে গত বছরের চেয়ে এবছর সুতা, কাপড়, তুলার দামটা একটু বেশি হওয়ায় কিছুটা বেশি দামেই (৬০০ -১৮০০ টাকা) লেপ তোষক বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাওড়া থেকে লেপ তৈরি করতে আশা শরিফুল- শারমিন দম্পতি জানান, এখনো শীতের দেখা না মিললেও আগেভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।