করোনার প্রভাব আবারো উর্ধ্বমুখী হওয়ায় সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তে অনড় সেখানে নাটোরের লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে মাইকিং করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাইকিংয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নাম ব্যবহার করে এ নির্দেশনা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিচয়দানকারী বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুন নাহার মুক্তি। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাইকিংয়ের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে আশরাফুন নাহার মুক্তির নিকট জানতে চাইলে তিনি মাইকিংয়ের সকল ব্যবস্থার জন্য বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমরান আলীর কথা বলেন।
স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমরান আলীর সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জলী আকতারীর মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে জলী আকতারীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুন নাহার মুক্তিকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেন বিদ্যালয়ের সভাপতি। এ ব্যাপারে জলী আকতারী নাটোর কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক চলতি দায়িত্ব অব্যাহত রাখেন। সম্প্রতি কোর্টের আদেশ বাতিল করা হয়েছে দাবি করে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তি জানান দিতে সভাপতি এ মাইকিংয়ের আয়োজন করেন।
করোনা প্রভাবের মধ্যে সরকারী নির্দেশনা লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনতে মাইকিং করা প্রসঙ্গে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমরান আলী জানান, এটা আমাদের ভুল হয়েছে।
লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের জমায়েত করে সরকারী নিয়ম লঙ্ঘন না করার জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতিকে বলা হয়েছে। এরপরেও নির্দেশনা না মানলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতিকে শিক্ষার্থীদের জমায়েত করতে নিষেধ করেছি। যদি নিষেধ না শোনে তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।