বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে নাটোরের লালপুরবাসীর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান গ্রীনভ্যালী পার্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল দুই বছর আগে। এখানে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই নিশ্চিন্তে বিনোদনের জন্য আসেন। পার্কটিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের জন্য পিকনিক স্পট হিসেবে সুন্দর, পরিপাটি ও সকল সুবিধা রয়েছে।
পার্কটিতে যেসকল সুবিধা রয়েছে : পিকনিক স্পট, শ্যুটিং স্পট, এ্যাডভেঞ্চার রাইডস, কনসার্ট এন্ড প্লে-গ্রাউন্ড, নিজস্ব বিদ্যুৎ সুবিধা, নামাজের সু-ব্যবস্থা, সিকিউরিটি সার্ভিসের ব্যবস্থা, ডেকোরেটর সুবিধা, গাড়ি রাখার ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়া, শপ কর্ণার, সভা-সেমিনার এর জায়গা, আবাসিক ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের সুবিধা।
বিনোদনের জন্য রয়েছে: স্পীডবোট, প্যাডেল বোট, বুলেট ট্রেন, মিনি ট্রেন, নাগরদোলা, পাইরেট শীপ, ম্যারিগোরাউন্ড, হানি সুইং, রিমোট কন্ট্রোল এরোপ্লেন , ট্রাইসাইকেল ইত্যাদি। প্রতিটি রাইডের আনন্দ উপভোগ করতে গুনতে হবে ২০-৫০টাকা। এছাড়া প্রায় ৩০ একর জমির উপর বিস্তৃত নয়নাভিরাম লেক, অত্যন্ত মনোরম পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত সুস্থ্য বিনোদনের ব্যবস্থা। পিকনিক স্পট বা সভা-সেমিনারসহ যে কোন বিষয়ে জানতে যোগযোগ করতে পারেন। গ্রীনভ্যালী পার্কে প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৫০/- টাকা।
অন্যান্য সুবিধা: পার্কে যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য ডেকোরেটর সামগ্রী, চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভাড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন প্যাকেজ সুবিধায় ২০টি টেবিল, ২০০ চেয়ার পাওয়া যাবে। উন্মুক্ত স্হানে পিকনিক করা যাবে। এর সাথে পানির ট্যাপ ও ওয়াশ রুমের বাড়তি সুবিধাও থাকছে।
পার্কিং সুবিধা: বাস ৩০০ টাকা, ছোট বাস ২০০ টাকা,হাইস – মাইক্রো ১৫০ টাকা, কার ১০০টাকা, সিএনজি ৫০ টাকা এবং মোটরসাইকেল ২০ টাকা পার্কিং ফি নির্ধারিত রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা: সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে আনন্দ-বিনোদনের লক্ষ্যে গ্রামের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থাসহ গড়ে তোলা হয়েছে নিরিবিলি পরিবেশে পার্কটি।
সড়ক পথ: সড়ক পথে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে নাটোর জেলার লালপুরে আসার সুব্যবস্থা রয়েছে। বাস, সিএনজি, অটোরিক্সা ও ব্যক্তিগত বা রিজার্ভ যানবাহনে লালপুর পৌঁছে মাত্র এক কিলোমিটার পাকা রাস্তার পরে পার্কটির অবস্থান।
রেল পথ: দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আন্তনগর বা সাধারণ ট্রেনে আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনে নেমে মাত্র ১০কিলো মিটার রাস্তা সিএনজি, অটোরিক্সা বা ভ্যানে পার্কে যাওয়া যাবে। ঈশ্বরদী ও আজিমনগর থেকেও সহজে আসা যাবে।
পানি পথ: পদ্মা নদীর উপকূলবর্তী জনপদ লালপুর। পদ্মা নদীতে যাতায়াতকারী নৌযানে লালপুর ঘাটে নেমে মাত্র এক কিলোমিটারের রাস্তা পেরিয়ে পার্কে পৌঁছা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি পার্কটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। বিগত ২ বছরে নানা কিছু যোগ হয়েছে, যা সহজে মানুষকে আর্কষন করে তোলে। ।