” তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ
তাই তব জীবনের রথ
পশ্চাতে ফেলিয়া যায় কীর্তিরে তোমায় বারম্বার”।
সাধারণত আমরা জানি মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে। অর্থাৎ তার শারীরিক অবলুপ্তির পর তাঁর কাজ দিয়েই তাকে স্মরণ করা হয়। যেমন রবীন্দ্রনাথকে আমরা স্মরণ করছি তার সাহিত্যকর্মের জন্য, আমরা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করি তাঁর সৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য। ঠিক তেমনি ভাবে আপনাকেও স্মরণ করছি আপনার সৃজনশীল শিক্ষা কাঠামো, আধুনিক অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল শিক্ষা-বান্ধব পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস নির্মাণ, জাতির সঠিক পথ-প্রদর্শনের জন্য, রাজশাহী কলেজে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ও আপনার সততা,নিষ্ঠা,মহানুভবতার জন্য আপনাকে সারাজীবন স্মরণ করবো।
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ “শা-জাহান” কবিতায় বলতে চেয়েছেন যে, মানুষের যেকোনো কাজের চেয়েই মানুষটি বড়। যেমন রবীন্দ্র সাহিত্যের চেয়ে রবীন্দ্রনাথ বড়। তেমনি আপনার সকল কর্মকাণ্ডের চেয়েও আপনি বড়।
” ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি
শ্রাবণ গগণ ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি
যা ছিলো নিয়ে গেল সোনার তরী।”
মহাকালের প্রতীক তরীতে কেবল সোনার ফসলরূপ মহৎ সৃষ্টিকর্মের স্থান হয়। কিন্তু, ব্যক্তিসত্তাকে অনিবার্যভাবে হতে হয় মহাকালের নিষ্ঠুর করাল গ্রাসের শিকার। অর্থাৎ এই নশ্বর পৃথিবীতে মহৎ কর্মের স্থান হলেও ব্যক্তি-মানুষের স্থান হয় না। আপনার এই প্রস্থান অবসর নয়, বরং সামনে অপেক্ষামান উজ্জ্বল যাত্রা বিরতিমাত্র।
Sir, you, I and everybody after a long time enter into the Rajshahi college. who is the pioneer of this great change. Then every square of Rajshahi college every particle of grass, trees, every wall will be witness by the Honourable Professor Md. Habibur Rahman sir.
” স্যার আপনি, আমি, আমরা প্রত্যেকে যতদিন পরেই কলেজের ভিতরে প্রবেশ করি না কেন। যদি প্রশ্ন করা হয় এই মহা পরিবর্তনের নায়ক কে? তাহলে ওই গাছগুলো সাক্ষী দিবে প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান। দেওয়াল থেকে একটি শব্দ ভেসে আসবে এই মহা পরিবর্তনের নায়ক প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান স্যার।
স্যার আপনার আর্শীবাদে রাজশাহী কলেজ থেকে ৪৪ টি পুরস্কার সহ ২৬ টি সার্টিফিকেট অর্জন করতে পেরেছি। বাংলা বিভাগের প্রাণের সংগঠন অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনার পি আর এল জনিত বিদায় সংবর্ধনা সাফল্য মণ্ডিত হোক।
লেখকঃ রুবেল আহমেদ
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ
সভাপতি, অগ্নিবীণা সাহিত্য পরিষদ