দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ১১ এপ্রিল নির্ধারিত সব নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
ওই দিন দেশের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ১১টি পৌরসভা এবং একটি সংসদীয় আসনে উপ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।
মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “১১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ নির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১ ইউপি নির্বাচন এবং ষষ্ঠ ধাপে ১১ পৌরসভার নির্বাচন সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশন স্থগিত করেছে।”
তফসিলে ঘোষিত ভোটের তারিখের ১০ দিন আগে এসব নির্বাচন স্থগিত করা হল।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ না হওয়া পর্যন্ত এসব ভোট হবে না। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে নির্বাচন যে অবস্থায় বন্ধ হয়েছিল, সেখান থেকে ভোটের প্রক্রিয়া আবার শুরু করা হবে।
এসব নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে ছিলেন প্রার্থীরা। স্থগিতের পর সব ধরনের প্রচার এখন বন্ধ থাকবে। পরে যখনই ভোটের তারিখ দেওয়া হবে, এই প্রার্থীরাই তখন নির্বাচনে অংশ নেবেন।
দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৬ হাজার ৪৬৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৯ জনের।
এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী জনসমাগম এড়াতে কমিশনের ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত এলো।
কমিশন আগেই জানিয়েছিল, ১১ এপ্রিলের ভোটের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হবে। অবশ্য বুধবার চার পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর অতিরিক্ত সচিব বলেন, “দেশের অবস্থা তো বুঝতেই পারছেন। আমরা তো জানি না যে এমন পরিস্থিতি হবে। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে তো নির্বাচন স্থগিত করা হলে। … সিলেট-৩ শূন্য আসনের উপ নির্বাচনের বিষয়েও পরে সিদ্ধান্ত হবে।”