বাবা-মা-র সচেতনতা সন্তানের জীবন সহজ করে, কিন্তু বাবা-মা অসচেতন হলে সন্তান পদে পদে ভোগে৷ করোনাকালীন সময়ে সন্তানদের কর্মকাণ্ড বাবা মাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তখনই মা-বাবার সাথে সন্তানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন মিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী এম. জাকির আহমেদ।
জানা যায়, করোনাকালীন সময় থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘বোকা বাবা’ নামে একটি লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্যারেন্টিং এর বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে আসছেন জাকির আহমেদ। তিনি বিরতি ছাড়াই একটা টানা ৩৭৮ দিন পার করে এই ব্যতিক্রমী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে প্রকৌশলী এম. জাকির আহমেদ বলেন, প্রত্যেক বাবা-মা তাঁর সন্তানদেরকে অনেক ভালোবাসেন। পরিবারে সন্তানকে বড় হওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার জন্য বাবা-মার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বাইরের জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসা ও চাকুরীতে মাত্রাতিরিক্ত সময় ও মেধা ব্যবহার করার পরে ঘরে এসে বাবার আর সময় ও ধৈর্য্য থাকে না। সময় না দেওয়ার কারণে বাবাকে ধীরে ধীরে সন্তান থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। সন্তান এবং বাবার প্রয়োজনীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অন্যত্র তৈরি হচ্ছে। সন্তান বাবার দর্শনে বড় না হয়ে বাইরের নানা রকম ভুল দর্শনে আকর্ষিত হচ্ছে।
বাবাদের এ সকল কার্যক্রম এক প্রকার চরম বোকামি যা সন্তান বড় হলে বাবা উপলব্ধি করেন কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। পরিবারে বাবার যথোপযুক্ত মানসম্মত সময় দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও তাগিদ দেওয়ার জন্য আমার জানা মতে দেশের ইতিহাসে প্রথম বিনামূল্যে অভিভাবকদের সচেতন করার একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ করি। যা চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ পেশায় যে কোন মানুষ বোকাবাবার সাথে যুক্ত হয়ে তার বাবার গল্প ও পরিবারের গল্প শেয়ার করে সকলকে অনুপ্রাণিত করে থাকেন। সমাজ গঠনে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম তার সাথে বাবারা যেন পরিবার ও সন্তানদের কথা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে নিজের পেশাতে সময় দেন সে গুরুত্ব তুলে ধরে বোকাবাবা নামক বিনামূল্যের এ উদ্যোগ।