জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে প্রথমে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর তামিম, মুশফিকের ইঞ্জুরি শঙ্কায় অনেকটা হুট করেই অভিজ্ঞতার বিচারে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই অলরাউন্ডারকে। হারারে টেস্টে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে একাদশেও সুযোগ হয় তার। প্রায় দেড় বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে নিজের ৫০তম টেস্টে খেলতে নেমে ক্যারিয়ার সেরা দূর্দান্ত এক ইনিংসে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিলেন ডানহাতি ব্যাটার।
তবে এমন রঙিন প্রত্যাবর্তনের পরেও কিনা সাদা পোশাকটাই তুলে রাখছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ!চলমান টেস্টের তৃতীয় দিন থেকেই গুঞ্জন উঠেছিলো টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ হারারের টেস্টের শেষ দিনে মাহমুদউল্লাহকে সতীর্থদের দেওয়া ‘গার্ড অব অনার’ এর পর তা পেলো স্পষ্টতা। ফলে নিজের ৫০তম টেস্টই হয়ে থাকলো টাইগার অলরাউন্ডারের শেষ টেস্ট। আর এর ফলে টেস্ট ক্যারিয়ারের সমাপ্তিতে অনবদ্য এক ইতিহাস গড়লেন ৩৫ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাস মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি নিজের অভিষেক টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তির পর, নিজের শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। ক্রিকেটের অভিজাত এই ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি ক্রিকেটার খেলেও টাইগার অলরাউন্ডারেরই কেবল এমন কৃতিত্ব রয়েছে।আন্তজার্তিক অভিষেকের দুই বছর পর ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। সেই টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট শিকারের পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন ডানহাতি এই স্পিনার। একই সাথে এটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেকে টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও।
নিজের শেষ টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলের বিপর্যয় সামলে ২৭৮ বল মোকাবিলায় ক্যারিয়ার সেরা ১৫০* রানের অপরাজিত অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে জিম্বাবুয়ের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরির ঘটনাও এটি।
সব মিলিয়ে ৫০ টেস্টের ক্যারিয়ারের ৩৩.৪৯ ব্যাটিং গড়ে ২৯১৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যেখানে ১৬ ফিফটির পাশাপাশি ৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। পাশাপাশি ডানহাতি অফস্পিনে ৪৩টি উইকেট শিকার করেছেন মাহমুদউল্লাহ।