1. admin@lalpurbarta.com : Farhanur Rahman : Farhanur Rahman
  2. biswasfahim020@gmail.com : Fahim Biswas : Fahim Biswas
  3. farhanurlalpur@gmail.com : Abdul Muthalib Raihan : Abdul Muthalib Raihan
  4. farhanurrahman4@gmail.com : Sajibul Islam Ridoy : Sajibul Islam Ridoy
  5. tushar698934@gmail.com : Tusher Imran : Tusher Imran
বিশ্ব’বিদ্যালয়ের সেই ‘আদুভাই’ এখন অ্যামাজনের মস্ত ইঞ্জি’নিয়ার; বেতন কোটি টাকা! - লালপুর বার্তা
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন

বিশ্ব’বিদ্যালয়ের সেই ‘আদুভাই’ এখন অ্যামাজনের মস্ত ইঞ্জি’নিয়ার; বেতন কোটি টাকা!

বার্তা ডেস্ক
  • Update Time : বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১
  • ১০০৬ Time View

মারুফ মনিরুজ্জামান মুনির। ছোট’বেলা থেকেই তিনি ছিলেন ব্যাক*বেঞ্চারের কাতারে। নবম শ্রেণিতে গণিতে তিনি ১০০ এর মধ্যে পেয়ে’ছিলেন ২৫। একারণে শিক্ষক’রা তাকে আর্টসে পড়া’শোনার প্রস্তাব করেছিলেন। তবে মুনিরের স্বপ্ন ছিল সাইন্স নিয়ে পড়া’শোনা করার। শিক্ষকদের অবজ্ঞায় মনে জেদ চেপে যায় মুনিরের। পড়াশোনায় মন দেন। প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে তিনি চান্স পান সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্সে। এখানে এসেও তিনি ফেলের খাতায় নাম লেখান।

CSE-র ৯৮ ব্যাচের এই ছাত্র একের পর এক পরী’ক্ষায় ফেল করতে করতে হতা’শায় পড়ে যান। জুনিয়র ব্যাচের সঙ্গে ক্লাস করে অপ’মানিত হয়েছেন। চারবার ডাটাবেস পরী*ক্ষায় ফেল করে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে সিলেটের ওই বিশ্ব’বিদ্যালয় ছেড়ে চলে আসেন ঢাকায়। এখানে এসে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়।

সার্টিফিকেট নেই তবুও এক্সট্রা ট্যালে’ন্টের জোরে তিনি চাকরি পান ওরাকলে। যদিও সেটা তার করা হয়নি। পরে তিনি মাইক্রোসফটে যোগ দেন সেখানে তিনি ১০ বছর চাকরি করে’ছেন। ফেল করা সেই ছেলে’টিই এখন আছেন অ্যামাজনে রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।

বলে রাখা ভালো, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বদান্য’তায় চাকরির মাঝ*খানেই তিনি সিলেটে এসে বিশ্ব’বিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে’ছেন। পঞ্চম’বার পরীক্ষা দিয়ে তিনি ডাটাবেজে উত্তীর্ণ হন। তবে ক্লাসের পরীক্ষায় বারবার ফেল কর’লেও জীবনের পরীক্ষায় মুনির একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মাইক্রো*সফটে চাকরি করেছেন ১০ বছর। এখন আছেন অ্যামাজনে রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।

মুনির বলেন, আমি সিএসই ডিপার্ট’মেন্টের ৯৮ ব্যাচের ‘আদুভাই’। আমার পাশের চেয়ে ফেলের সংখ্যা কোন অংশে কম থাকত না। ৯৮, ৯৯, ২০০০, ২০০১ সব ব্যাচের সাথে ক্লাস করেছি এবং ৩ সেমিস্টার অতি*রিক্ত লাগিয়ে মোট ১১ সেমিস্টারে পাশ করেছি (মোট ১৬১.৫ ক্রেডিট)। জুনিয়র ব্যাচের মেয়ে*দের সামনে ইজ্জত একেবারে চলে গিয়ে’ছিল।

চারবার ডাটাবেস পরীক্ষায় ফেল করার পর মনের দুঃখে সিলেট ছেড়ে চলে গিয়ে*ছিলাম। জাফর ইকবাল স্যার সরকারের এত টাকাপয়সা নষ্ট করে পড়া’শোনা শেষ না করে বাড়ি চলে যাও’য়ায় বিরাট ঝাড়ি দিয়েছেন। সেই কারণে দান দান ৫ দানে ডাটাবেজ পাশ করেছি। ওরাকলে চাকরি হয়েছিল। ডাটাবেজ স্যার হার্টফেল করতে পারেন ভেবে চাকরিটা করিনি।

মাইক্রো’সফটে বছর দশেক ছিলাম অফিস টিমে, যেই টিম Word, Excel, Powerpoint, Exchange, Outlook এগুলো বানায়। বর্তমানে অ্যামাজনে রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছি স্কাউট টিমে (সেলফ ড্রাইভিং কার বানায় যে টিম)। কেউ কেউ সান্তনা দেন তুমি তো আগে ভাল ছাত্র ছিলে, কথাটা সত্য না। ক্লাস নাইনে উচ্চতর গণিতে ১০০ তে ২৫ পাওয়ায় স্যার পরামর্শ দিয়েছিলেন আর্টসে পড়ার।

আরেকটা পরিচয় আছে ৯৮ ব্যাচের শামস আর নাসিরের সাথে মিলে iferi.com বানিয়েছি। যদিও এটাতে এখনও পাশ মার্ক ওঠেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরও খবর
© সাপ্তাহিক লালপুরবার্তা কর্তৃক  © ২০২০ সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
Theme Customized BY WooHostBD