প্রথমে ওয়ানডে। এরপর টেস্ট। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি। তিন সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
এর আগে ৪ ম্যাচের সবকটিতেই বাংলাদেশ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে, সব ম্যাচই ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এদিন আগে ব্যাটিং করে ১৩১ রানে থেমে সে ধারা ভাঙার কাজটা নিজেরাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশ। এ ম্যাচ জিততে বদলাতে হতো ইতিহাস, এর আগে যে কখনোই টি-টোয়েন্টিতে এত কম রানের সম্বল নিয়ে জেতেনি তারা।
ইনিংসের প্রথম বলেই মেহেদী হাসানের উইকেট যেন বদলে দিল সবকিছু। অস্ট্রেলিয়াকে আর দাঁড়াতেই দেয়নি এরপর স্বাগতিকরা। প্রথম ৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে ৩ উইকেট, মেহেদীর পর নাসুম ও সাকিবও নিয়েছেন নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার সমস্যা ছিল ব্যাটিং, সেটিই ধসে গেল বাংলাদেশের স্পিন-তোপে। নাসুম আহমেদ বোলিং শেষ করেছেন ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে। দুটি করে নিয়েছেন দুই পেসার- মোস্তাফিজ ও শরীফুল। একটি করে নিয়েছেন সাকিব ও মেহেদী।
ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে মিচেল স্টার্ককে বোল্ড করেছেন মোস্তাফিজ। ১৯তম ওভারে শরীফুলের জোড়া আঘাতের পর শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। একটা ওয়াইডের সঙ্গে মোস্তাফিজ দিয়েছেন তিনটা সিঙ্গেল।
অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১০৮ রানেই। ২৩ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।