রাজশাহীর বাঘায় বিকাশ এজেন্ট,ডিএসও,এবং বিকাশ সুপার ভাইজারদের নিয়ে থানা চত্তরে থানা প্রাশাসনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বাঘা থানা চত্বরে উপজেলার প্রায় ৩০৪ জন বিকাশ এজেন্ট,ডিএসও, এবং বিকাশ সুপারভাইজারদের নিয়ে থানা প্রশাসনের উদ্যোগে এক মত বিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সমাবেশে বিকাশ এজেন্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন,মোবাইল বিকাশ থেকে টাকা বের করাকে হ্যাকিং নয় এক ধরনের ডাকাতি বলা যেতে পারে। এজন্য সকল বিকাশ এজেন্টগণকে থানায় নির্দিষ্ট ফর্মে তালিকাভুক্ত করে,সকলের বিকাশ ব্যবহৃত সীম কার্ডের নাম্বারগুলি,সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা লিখে দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া একজন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে ৫ টির সীম ব্যবহার করবেন এবং নাম্বারগুলো থানায় লিখিতভাবে জানিয়ে রাখাসহ মোবাইলের আইএমই নাম্বার,একই সীম নাম্বারে কি কি একাউন্ট খুলে ব্যবসা করছেন সে বিষয়ে অবগত করার পরামর্শ দেন তিনি।বড় অংকের টাকা হলে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে তার পরিবারসহ চিহ্নিত করে রাখবেন,প্রয়োজনে মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দিয়ে জানবেন। বিদেশ হতে টাকা উঠাতে হলে সঠিক ভাবে যাচাই করে নিজেদের পর্যাপ্ত প্রমাণ রেখে লেনদেন করতে হবে। বিকাশ গ্রাহকের লেনদেনে অসংগতি মনে হলে অবশ্যই থানায় জানাবেন।
উল্লেখ্য,ওসি সাজ্জাদ হোসেন বাঘা থানায় যোগদানের পর থেকে মাদক এবং ইমো হ্যাকার চক্রের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছেন। ওসব অপরাধিদের কোন প্রকার ছাড় দিবেন না বলেও জানান তিনি।এক প্রশ্নের জবাবে (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সাজু গণমাধ্যম কর্মিদের উদ্দেশ্যে বলেন,অত্র এলাকায় ইমু ও বিকাশ হ্যাকারদের দৌরাত্ব বেড়ে গেছে। অচিরেই তাদের নির্মুল করা হবে। ইতোমধেই ইমো ও বিকাশ হ্যাকিং চক্রের প্রায় ৪৫-৫০ জনকে পুলিশ ও র্যাব বাহিনী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
এজন্য সামাজের সচেতন মহল ও গণমাধ্যম কর্মিদেরকে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করবে পুলিশ। সর্বপরি নিরাপদ বাঘা উপজেলা গড়ে তুলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।