নাটোরের লালপুরে আড়বাব ভূমি কর্মকতা বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে মসজিদ, সরকারি হাট-বাজার ও প্রেসক্লাবের জমি অন্যকে খারিজ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি খারিজ দেয়ায় এসব জমি দখলে নিয়েছেন ভূমি কর্মকর্তার স্বজন আবুল হোসেন।
সোমবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার সালামপুর নজরুল নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
অভিযোগ সূত্র জানা যায়, লালপুর সাব-রেজিস্টরি অফিসে বিগত ১৯৯৭ সালের ৩ মে ৩৫০৬ দানপত্র দলিলে বিগত ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর খারিজ কেস ২১৭১/১০-১১ নং আদেশ এবং ১৩১ নং আদেশে নজরুল নগর বাজার মসজিদ, ৩৪৬৫ নং দানপত্র দলিলে খারিজ কেস নং ২১৭১/১০-১১ নং আদেশে এবং ১৩০ নং হিসেবে নজরুল নগর বাজার ও প্রেসক্লাবের নামে খারিজ রয়েছে।
গত ১৯৯৭ সালের ৩ মে থেকে অদ্যাবধি সরকারি ইজরার মাধ্যমে হাটবাজারে অর্থ আদায়ও হয়ে আসছে। তবে ৩০ আগষ্ট একই এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন ও তার চার ছেলে আয়েবুল্লাহ, রবিউল, জহুরুল ও জাহিদুল উক্ত জমি তাদের দাবি করে মসজিদের ধারি এবং রাস্তা ভেঙে দিয়ে মরিচ বেগুন গাছের চারা লাগিয়ে মসজিদে নামাজ আদায়ে বাধা প্রদান করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে নজরুল নগর বাজার ও মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী বলেন, ৫৪ শতাংশ জমির সাড়ে ২৪ শতাংশ জমি ১৯৯৭ সালে প্রাপ্তবয়স্ক জমির মালিকের থেকে কিনে মসজিদ, বাজার ও প্রেসক্লাবের নামে দান করেছিল প্রয়ত সাংবাদিক প্রেফেসার এ.কে.এম নজরুল ইসলাম। এবং এই জমি খাজনা খারিজ চলমান। তারপরও স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে আগের খারিজ বাতিল বা নোটিশ না দিয়ে তার আত্মীয়কে জমি খারিজ দিয়েছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকতা বেলাল হোসেন। আমরা ইউএনও বরাবর খারিজ বাতিলের আবেদনও করেছি। তারপরও বিবাদীরা এ জমি দখলের পায়তারা করছে।
তিনি আরো বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক নজরুল ইসলামের স্মৃতি মুছে দিতে নজরুল নগর বাজারের নাম ফলক সরিয়ে চৌমোহনী বাজার নামে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে।
বিবাদী আবুল হোসেন বলেন, এই জমি আমি ১৯৭৩ সালে অপ্রাপ্তবয়স্ক উয়ারিশের মায়ের থেকে কিনেছিলাম। আগে জমি খারিজ করা ছিল না। এখন জমি খারিজ করে দখল নিয়েছি।
আড়বাব ইউপি ভূমি কর্মকতা বেলাল হোসেন বলেন, ৫৪ শতাংশের মধ্যে মসজিদ ও প্রেসক্লাবের জমি খারিজ দেয় নি। হোল্ডিং না থাকায় হাটের জমিসহ বাকি টুকু খারিজ দিয়েছি।
নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি সমাধানের জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার বলেন, নালিশী সম্পত্তি নিয়ে আমি একটি মিস কেসের আবেদন পেয়েছি। আবেদনটি যাচাই বাচাই করে তদন্ত সাপেক্ষে যার পক্ষে যায় তার পক্ষে ব্যবস্থা নিবো।