বাজারে চালের দাম বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। লাগামছাড়া দামে লালপুরের দারিদ্র্য মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। গরিব মানুষের সস্তায় ক্রয়ের শেষ পণ্য মোটা চালের কেজি পৌঁছেছে ৫০ টাকায়, তেলের কেজি ১৫০। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কৃষক, শ্রমিক এবং পেশাজীবীসহ সীমিত আয়ের মানুষ।নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির ট্রাকসেল কার্যক্রম শুরু হলেও লালপুরের ১০ ইউনিয়নের বিপুল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এমন কোন কার্যক্রমের দেখা মিলে নি।
স্বল্প আয়ের মানুষেরা বলছেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, ওই দামে কেনার ক্ষমতা তাদের নেই। টিসিবি ট্রাক থেকে ভূর্তুকি মূল্যে বাজারের চেয়ে কম দামে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ কিনতে পারলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ফিরতেন তারা।
চংধুপইল ইউনিয়নের মোজাম্মেল আলী। পেশায় ভ্যান চালক। তিনি বলেন, শুনেছি শহরে ট্রাকে করে সরকার চাল ডাল তেল বিক্রি করে। এটা আমাদের এখানে চালু করলে আমাদের মতো অল্প আয়ের মানুষরা বাজারের চেয়ে কম দামে তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ কিনতে পারতাম।
লালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জামিল বিশ্বাস বলেন, আমাদের কপাল থেকে গরু, খাসির গোশত অনেক আগেই উঠে গেছে। মাসে এক-দু’দিন পরিবার নিয়ে গোশত-ভাত খাবো এখন তার উপায়ও নেই। এখন তো আবার প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য উদ্ধগতি। পরিবার নিয়ে দূর্বিশ্বাস জীবন যাপনকরছি। টিসিবিতে পণ্য বিক্রি করা হলে আমার মত অনেক নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা হলেও টাকা সাশ্রয় হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ভারপ্রাপ্ত) শাম্মী আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার গোপালপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়েছে। পরবর্তীতে মিনিস্ট্রি থেকে নির্দেশনা পেলে আবার দেওয়া হবে।