নাটোরের লালপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল রবি শস্য চাষে উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন। এ থেকে উত্তরণের জন্য গত বছর এক বিঘা জমিতে শুরু করেন কালোজিরার চাষ। কম খরচে দাম ভালো পাওয়ায় এবারও পৌনে দুই বিঘা জমিতে কালোজিরার চাষ করছেন।
আওয়ালের দেখাদেখি ওই এলাকার অন্য চাষিরাও এবার কালোজিরা চাষে ঝুঁকেছেন। তাদের একজন মাহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, খেসারী, মটর চাষ করে সুবিধা করতে পারছিনা। গত বার দেখলাম আওয়ালের কালোজিরা ভালোই হইছিলো। আবার কালো জিরার যে দাম! তাই এবার আমিও বিঘা খানেক লাগাইছি দেখা যাক, আল্লাহ কি করে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার এই অঞ্চলের কৃষকরা রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কালোজিরা চাষ করেছেন। এ বছর উপজেলার ১১৫ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত দিনে অল্প পুঁজি বিনিয়োগে অধিক মুনাফা হওয়ায় এবার ২১০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় উন্নত জাতের কালোজিরা চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫ হেক্টর অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ বেশি জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০ মে. টন।
লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে কালোজিরার চাহিদা ও দাম বেশি। আবার কালোজিরা চাষে লাভও বেশি। এক বিঘা জমিতে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে ৩ থেকে ৪ মণ কালোজিরা হলেই প্রতি মণ ১০হাজার টাকা হিসাবে ৩০/৪০হাজার টাকা। এতে কম খরচে বেশি মুনাফা লাভের জন্য এখানকার কৃষকরা বিগত সময়ের চেয়ে বেশি কালোজিরা চাষ করেছেন।