নাটোরের লালপুরের করিমপুর হাটবাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আব্দুলপুর তদন্তকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় হাটের ইজারাদার আসলাম হোসেন বাদী হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সম্প্রতি করিমপুর হাটবাজার ইজারা পেয়েছেন ধনঞ্জয়পাড়ার মৃত বাদশার ছেলে আসলাম হোসেন। গত মঙ্গলবার ইজারাদারের নির্দেশে মাইকে প্রচারণার সময় সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত চংধুপইল ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের লোকজন মাইকের তার ছিঁড়ে দেয় ও ভ্যানচালককে মারধর করেন।
এ ঘটনায় বর্তমান সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থিত আব্দুল্লাহ আল মামুন অরেঞ্জ মৌখিকভাবে আব্দুলপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন। পরে আসলাম হোসেন লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে তদন্তকেন্দ্রে ডাকেন।
তদন্তকেন্দ্রের অফিস কক্ষে আলোচনা চলাকালীন সময়ে অফিস কক্ষের বাইরে অবস্থানরতদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি বেঁধে যায়। এ সময় ফাঁড়ির ভেতরে থাকা রান্না করা খড়ির আঘাতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। উভয় পক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে আব্দুলপুর ফাঁড়ির দুজন পুলিশ সদস্য আহত হোন।
চংধুপল ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, করিমপুর হাটবাজারের সরকারি জমি রয়েছে ২০ শতাংশ। বাকি জমি রেলওয়ের ও ব্যক্তিগত দোকান মালিকদের। হাটের খাজনা আদায় নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় প্রশাসনের নির্দেশে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে ঝামেলা হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, গতকাল রাতে ১৫ জনকে আসামি করে হাটের ইজারাদার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন মামলা হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।