নাটোরের লালপুরে বাবার হাসুয়ার কোপে আব্দুল হাকিম (৪২) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই ২০২২) দুপুরে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের বড়ময়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার দায়ে অভিযুক্ত নিহতের বাবা ওই গ্রামের মৃত খাদেম মন্ডলের ছেলে আজিজুর রহমান খলিফা (৬৫)।
নিহতের স্ত্রী রিমা খাতুন পরি (২৫) বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে তার স্বামী আব্দুল হাকিম ঈশ্বরদী পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন। এ সময় তার শ্বশুর আজিজুর রহমান খলিফা এক ব্যক্তিকে জমি ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি হাফিজা বেগমসহ অন্য সন্তানদের সাথে ঝগড়া করছিলেন। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে তার শ্বশুর আজিজুর রহমান খলিফা ব্যাগে রাখা হাসুয়া বের করে স্বামী আব্দুল হাকিমের গলায় কোপ দেন। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকেও কোপ দেন। হাসুয়ার কোপে তার বাম হাতের কব্জি কেটে গিয়ে আহত হন। পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক তার স্বামীকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার আগেই পথিমধ্যে আব্দুল হাকিম মারা যান। গলায় হাসুয়ার কোপে রক্তনালী কেটে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। আহত রিমা খাতুন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতের শাশুড়ি উপজেলার এবি ইউনিয়নের বরমহাটি গ্রামের আসেনারা বেগম ও শ্বশুর আব্দুর রহিম বলেন, ২০১১ সালে আব্দুল হাকিমের সাথে তার মেয়ে রিমা খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের পায়েল (১১) ও পান্না (৭) নামে দুজন সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে বড় সন্তান আব্দুল হাকিম তার বাবা আজিজুর রহমানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রায় ছয় মাস যাবত তিনি ওয়ালিয়া বাজারে তার দর্জির দোকানেই অবস্থানরত করতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দোকান থেকে বাড়ি গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খুনের ঘটনা ঘটে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।