লালপুরে গোপনে ইউএনও’র কথোপকথনের ভিডিও ধারণ, কথিত মানবাধিকার কর্মকর্তা আটকর লালপুরে ভুয়া ‘মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা’ পরিচয়ে গোপনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানার সাথে কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করায় মোজাদেদুল হক মিঠু (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে। আটকৃত ব্যক্তি বড়াইগ্রামের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নূরুজ্জামান মোল্লার ছেলে।
ইউএনও কার্যলয় সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মোজাদেদুল নিজেকে ‘মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তার’ পাশাপাশি ‘গণমাধ্যমকর্মী’ হিসেবে পরিচয় দেন। এসময় ইউএনও’র কথোপকথন গোপনে মোবাইলে ধারণ করার সময় বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। তার কথা-বার্তায় এবং তথ্যে অসংগতি পাওয়ায় ওই ব্যক্তির বহনকৃত আইডি কার্ড যাচাই করেন। তবে যাচাই-বাছাই করে তার কথার সত্যতা পাওয়া যায় নি।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, বেলা পৌনে ২টার দিকে কার্যালয়ে এসে অফিস সংশ্লিষ্ট তথ্য চান ওই ব্যক্তি। পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটির জেলা কমিটির ইনভেস্টিগেশন অফিসার পরিচয় দেন। কিন্তু তার কার্ড ও মুখে বলা তথ্য যাচাইয়ে কোনও মিল পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে জেলা-উপজেলার সাংবাদিকরা চেনেন না। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, আটকৃত ব্যক্তির দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।