এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েও উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে দরিদ্র শিক্ষার্থী বাধঁন কুমারের। ভালো ফলাফল করার পরও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
বাধঁন নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জৌতগৌরী গ্রামের নরসুন্দর বংকেশের ছেলে।
পঞ্চম শ্রেণি এবং জেএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ ও বৃত্তি পাওয়া অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী বাঁধন কুমার জানায়, তার বাবা বংকেশ পেশায় একজন নরসুন্দর আর মা পলি রানি গৃহিণী। দুই ভাই সংসারে অনেক কষ্টে বাবা মা প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করিয়ে তাকে স্থানীয় মনিহারপুর-রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। স্কুলের শিক্ষকেরা তার লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন। পোশাক, গাইড বই ও খাতা কলম দেয়াসহ বিনা পয়সায় প্রাইভেটও পড়িয়েছেন। পরীক্ষার ফিও জমা দিয়েছেন তারা। একই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলে জীবনে সে একজন ভালো মানুষ হতে চায়।
মনিহারপুর-রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, বাধঁন খুবই মেধাবী। বাধঁন খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার পিতা বাধঁনের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাধঁনকে কলেজে ভর্তি করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য তার পরিবারের নেই। তার উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার মা ও বাবা সমাজের হৃদয়বান ও বৃত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।