গুরুদাসপুরে শশুর পুত্রবধুর দ্বন্দ্বে ১২লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র লিচু ব্যবসায়ীরা
গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধি. Update Time : ০৮:১৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩ ৭৯ Time View
নাটোরের গুরুদাসপুরে শশুর সাবেক ওসি এবং পুত্রবধু এসপি জমিজমা নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি মামলা। সেই মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অসহার লিচু ব্যবসায়ীরা। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর মৌজায় মোঃ ইউসুব আলীর ক্রয় সুত্রে প্রাপ্ত ৪দাগে ৬বিঘা জমিতে ৬টি লিচু বাগান লিজ নেন ব্যাবসীরা। এতে শশুর পুত্রবধুর পাল্টাপাল্টি মামলার কারনে বাগানের প্রায় ১২লক্ষাধিক টাকার পাকা লিচু গাছ থেকে ঝরে পরে নষ্ট হয়েছে।
মামলার নথি ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, স্থানীয় ইউসুব দারগার ওই সম্পত্তির ৬বিঘা জমি লিজ নেন একই এলাকার লিচু ব্যাবসায়ী মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে মনছের মন্ডল, মোঃ শুকুর প্রামানিকের ছেলে আশরাফ আলী, মনজিল মন্ডলের ছেলে মোঃ আনোয়ার মন্ডল, মৃত্যু মকদম প্রামানিকের ছেলে কুরবান আলী প্রমানিকসহ ১৫ জন ব্যাবসায়ী ৯লাখ ৭০হাজার ৫শটাকায় এক মৌসুমের জন্য উক্ত বাগানের লিচু কিনে নেন। লিচুর বাগান রক্ষনাবেক্ষনের জন্য যাবতীয় খরচও করেন তারা। কিন্তু বাগানের লিচু ভাঙ্গার সময় বাগরা বাঁধে শশুর ইউসুব আলী(অবসরপ্রাপ্ত ওসি) এবং পুত্রবধুর ফরিদা পারভীনের (উচ্চ পদস্থ চাকুরী জীবি) মধ্যে। দুই পক্ষ থেকেই ১৪৪ধারা জারি করা হয় ওই বাগানের উপর । এতে আমাদের প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ নিয়ে ক্ষতি গ্রস্ত লিচু ব্যাবসায়ীরা গতকাল ( ২২ মে) একসংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমারা কাগজপত্র দেখে মুল মালিকের নিকট থেকেই বাগানগুলো লিজ নিয়েছিলাম । কিন্তু তার পুত্রবধু ফরিদা পারভীন জমিটি তার বলে দাবী করে লিচু পারতে নিষেধ করেন। একদিকে তার শশুর ইনজেংশানের কাগজ দেখান অপর দিকে তিনি ১৪৪ধারা জারির কাগজ দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন । এখন আমরা কি করবো টাকা না উঠলে দেনার টাকাও দিতে পারবো না। ওদিকে বাগানের লিচুগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা দাবি করেন ১৯ মে ফরিদা পারভীন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার লিচু জোর করে পেরে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে নাটোর আমলী আদালতে আব্দুর রহমানের ছেলে সোহেল আহমে¥দ মুন্না, মৃত্যু উসমানের ছেলে সাকিনুর রহমান বাবু, কমেদ আলীর ছেলে মহাসিনসহ ১৭ জন সন্ত্রাসীর নামে মামলা করেছে ওই ব্যবসায়ীরা।
এব্যাপারে ইউসুব আলী জানান, এই জমির মালিক ক্রয়সুত্রে মালিক তিনি। তাঁর ছেলে শফিকুল ইসলাম মারা যাবার পর আমার বউমার আংশ ভাগ করে দিয়ে সিমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি। নাতিদের অংশও রাখা আছে। তার পরেও তিনি কেন আমার সাথে বাধ সাধছে আমার বুঝে আসছে না। আমি মারা গেলে তো অংশিদারেরা সবাই মালিক হবে।
এবিষয়ে তার পুত্রবধু ফরিদা পারভীন মুঠোফোনে জানান, আমার অবুজ শিশুদের ফাঁকি দিয়ে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমার তিন ননদকে রাজশাহীর দেড় কোটি টাকার ১৮টি ফ্লাট এবং রংপুরের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পত্তি তার তিন মেয়ে সেলিনা পারভীন,ফারজানা ও শেফালী পারভীনের নামে রেজ্ট্রি করে দিয়েছেন। আমার এতিম ছেলে মেয়েকে কেন সমপত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করলেন। আমার কাছে সকল ডকুমেন্ট আছে। তবুও আমি কিছু বলিনি। আমাকে এবং আমার আত্বীয়দের বিরুধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমি একজন চাকুরীজীবি নারী আমি কোন প্রকার ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আর আমার কোন লোকবল নেই তাই বাগান থেকে লিচু পারার প্রশ্নই আসেনা।আমি একজন আইনের লোক তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ওই বাগানে ১৪৪ধারা জারি করতে বাধ্য হয়েছি।