নাটোরে লালপুরের ঝড়ে পড়া আম বিক্রি হয়েছে দুই টাকা কেজি দরে। আম পাড়ার এই সময়ে ঝড়ে গাছের আম পড়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপরিপক্ব বড় সাইজের আম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা বস্তা যা দুই টাকা কেজি দর পড়ে । মঙ্গলবার (২৩ মে) উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, দুড়দুড়ীয়া, মনিহার পুর, গন্ডবিল, বেরিলাবাড়ি, আট্রিকা এলাকায় বস্তাভর্তি শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্রে ব্যবসায়ীরা। এসব আম আচারের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, গত রোববার রাত সোয়া ৯টায় আকস্মিক ঝড়ে ব্যাপক আম ঝরে পড়ে। আম পাড়ার সময়ে ঝড়ে আম পড়ে যাওয়ায় আমচাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তবে রোববারের ঝড়ে বেশিরভাগ বাগানের আম ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া আম দুদিন ধরে লালপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, আম কেনার ধুম পড়েছে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েও প্রতি কেজি আম কিনছেন মাত্র দুই টাকা কেজি দরে। চাষিরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতেই তীব্র খরায় আম নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। গাছের গোঁড়ায় রস না থাকায় বোঁটা শুকিয়ে গুটি ঝরে পড়া শুরু হয়। এর মাঝে আবার আঘাত হানে কালবৈশাখী। সব মিলিয়ে কয়েকশ মণ আম ঝরে গেছে। বেশিরভাগই ল্যাংড়া, ফজলি ও হিমসাগর জাতের। আমব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার প্রায় ৫শ’ বস্তা আম কিনেছেন। খরচসহ এসব আমের দাম পড়েছে প্রায় ১০০ টাকা মণ। তার কেনা আম ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন। তার মতো অনেকেই আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন বলে জানান। দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাসেল বলেন, ঝড়ে আম পড়ে চাষীদের ক্ষতি হয়েছে। তবে গাছে এখানো প্রচুর আম আছে। তাতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে।