ফারহানুর রহমান রবিন: দেশের অন্যতম উঞ্চ এলাকা হচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলা। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সারা বছর এই এলাকায় তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং প্রকৃতিতে বিরাজ করে বৈরী পরিবেশ। তাই উঞ্চতা ও বৈরী পরিবেশ রোধে সবুজ লালপুর প্রকল্প গ্রহন করেছে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারী সংস্থা।
”গাছে করবো ভরপুর সবুজ হবে লালপুর” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেনসহ ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ওষুধী গাছের চারা দিচ্ছে সংস্থাটি।
সোমবার দুপুর ১২টার সময় উপজেলার লালপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ সময় গ্রীণ লালপুরের প্রকল্প সমন্বয়ক ও লালপুর বার্তার সম্পাদক আব্দুল মোত্তালেব রায়হানের সঞ্চালনা লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীমা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম দিন ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর মাঝে ৪ হাজার গাছের চারা বিতরন করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী, লালপুর পাবলিক লাইব্রেরী সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, ১নং লালপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক তাসলিমা খাতুন, লালপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম বাঘা, লালপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ওমর ফারুক শিমুল, ফিল্ড টেকনিশিয়ান বিএটিবি মকলেসুর রহমান, লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রাণরসের সাধারণ সম্পাদক আলফাজুল কবির টুটুল প্রমুখ।
প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নুরীয়া পারভিন জানান, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় লালপুর উপজেলায়। এজন্য তাপমাত্রাও সবসময় বেশি থাকে। এতে প্রকৃতিতে রুক্ষ পরিবেশ বিরাজ করে।
এই পরিস্থিতি উত্তোরণে সবুজ বনায়ন বা বৃক্ষের বিকল্প নেই। তাই লালপুর উপজেলার উঞ্চতা ও বৈরী পরিবেশ রোধে সবুজ লালপুর গড়ার লক্ষ্যে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
ওই প্রকল্পের আওতায় প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে একটি করে ফলজ, বনজ ও ওষুধী গাছের চারা দেওয়া হবে। যা রোপন করলে একদিন লালপুর হবে সবুজ নগরী। সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন কাজ করছে। আগামিতে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে একই ভাবে গাছের চারা প্রদান করা হবে।