নাটোরের লালপুরে দিয়াড় বাহাদুরপুর মৌজায় বৈধ লিজকৃত চরে বালু উত্তোলনের সময় এক্সিভেটর, গাড়ি ভাংচুর ও করাদণ্ডের প্রতিবাদে সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ীগণ।
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দিয়াড় বাহাদুরপুর চরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন দিয়াড় বাহাদুরপুর মৌজায় গত ৩০চৈত্র ১৪২৯ তারিখে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শামীমা আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত চিঠির নির্দেশে বালু মহাল ১লা বৈশাখ ১৪৩০ থেকে ৩১ চৈত্র ১৪৩০ বাংলা তারিখ পর্যন্ত মোট ১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বালুমহাল ইজারার কার্যাদেশ প্রদান করেন রাসেল এন্টার প্রাইজকে।
রাসেল এন্টার প্রাইজ বৈধ লিজকৃত ওই মৌজায় বালু উত্তোলন কালে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ ও ভূমি অফিসের নাজির আসাদ বালু মহালে উপস্থিত হয়ে এক্সিভেটরসহ বালু বহণকারী ট্রাক্টরে ভাংচুর ও ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। এসময় ৩জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলার নবীনগর গ্রামের বেলাল মন্ডলের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮), সাইপাড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে সাহারুলকে (৩২) ২৯দিন ও সালামপুর গ্রামের জাবেদ সরকারের ছেলে হৃদয়কে (২১) ২১দিন করে কারাদন্ড প্রদান করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ীগণ।
রাসেল এন্টার প্রাইজের সত্বাধীকারী রাসেল আহম্মেদ জানান আমি অবৈধ কোন কিছু করি নাই। আমার লিজকৃত বৈধ ঘাটে উত্তোলনকৃত বালু ট্রাক্টর দিয়ে বহণকালে লালপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি অভিযান চালিয়ে বালু বহণকারী গাড়ি ভাংচুর করে ব্যটারি খুলে নিয়ে যায় ও ৩জনকে কারাদন্ড প্রদান করেছেন সেটা আমার বোধগম্য নহে।
এব্যাপারে লালপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমি এখন অভিযানে আছি কথা বলা যাবে না।’ এই বলে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।